পথিক: তোমরা হলে দমকা হাওয়া ….হেয়ালীপনার ঢেউয়ে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে – তা না করে যদি তোমরাও কেজো হয়ে পড়ো –অর্থের পেছনে ছুটে – সব অর্থহীন করে তোলো – তাহলে তো স্বয়ং রবি ঠাকুর ও ভাবনায় পড়ে যাবেন|
সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে আমি যাই ভেসে দূর দিশে--
পরীর দেশে বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে॥
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!
মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।
অনন্যা : কি দেখেছো কি অমন করে ?
পথিক : দেখছি নন্দিনী কে , কৃষ্ণকলি কে, চিত্রাঙ্গদা, প্রকৃতি কে, শ্যামা, মৃনাল, চারু কে, লাবণ্য ,সোহিনী, হরতনি কে.
অনন্যা : ওরা তো রবীন্দ্রনাথের নায়িকা …অতুলনীয়া সব... আমরা তো সাধারণ মেয়ে |
পথিক : আমার কাঁচা চোখে চমক লাগে, এই সাধারণের মধ্যেই অসামান্যের ছোঁয়া পেয়ে | তুমি বলবে এর কোনো মানে নেই | নাই বা থাকলো.. এ যেন এক পরিচয়হীন সত্য | দরদামের বাজারে এই অমূল্যকে , মূল্যহীন ভাবলেই বা ক্ষত কি।
অনন্যা : সব ক্ষতি কি সব সময় ধরা পরে পড়ে ? আমাদের মেয়েবেলায় কত বার ভেবেছি - বেশ একটা জিতে গেলাম , কিন্তু বুঝতেই পারিনি কখন হার হয়েছে তলে তলে ।
পথিক : তোমরা যাকে ভাব হার – সেখানেই মুক্তির প্রকাশ | সেখানেই তুমি অনন্যা – সেখানেই তুমি যা , তুমি তাই , তা ছাড়া আর কিছুই নও